রহমত ডেস্ক 25 February, 2022 05:41 PM
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, পিলখানা হত্যা দিবসকে জাতির জন্য বেদনাবিধুর ও কলংকজনক দিন। আমরা এমন শোকবিধুর দিনে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। জাতি চিরদিন পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের বীরের মর্যাদা দেবে। পিলখানায় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে এক যুগেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবশ্যই বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার মেধাবী, দক্ষ ও প্রশংসনীয় সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সকালে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন জাপা চেয়ারম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের শিকার তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিন আহমেদ এবং শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর ছেলে জাতীয় পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী।
জিএম কাদের বলেন, পিলখান হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত হয়েছে, এর বিচারকার্য হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে। এতবড় একটি হত্যাকাণ্ড হঠাৎ করেই হয়নি। এর পেছেনে অবশ্যই বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ছিল। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানতে পারেনি কেন, যদি জানতেই পারেন তবে কেন এ ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা হলো না। এ বিষয়গুলো এখনো মানুষের মনে সংশয়, সন্দেহ এবং বেদনা সৃষ্টি করে। আমরা মনে করি এসব প্রশ্নের অবসান হওয়া উচিত এবং সবাইকে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আসা উচিৎ। কারণ, জবাবদিহিতার অভাবে অনেক বড় ধরনের অঘটন ঘটে যায়। সব ক্ষেত্রে যেমন শৃঙ্খলা রক্ষা দরকার তেমনই শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে কি না বা কার কী দায়িত্ব তার জবাবদিহিতাও সুনিশ্চিত করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।